ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ: অনেকেই রয়েছেন, যারা নিজেদের প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে চান। আর তাই, অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, এটি নিয়ে অনুসন্ধান করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ অনেক দ্রুতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অনেক পেশাদারা তাদের কাজের জন্য Freelancing কে বেছে নিচ্ছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে দূরে অবস্থান করে সারা বিশ্বের ক্লায়েন্টদের কাজে সহযোগিতা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠেছেফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ,ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ | কোন কাজ শিখলে ভালো হবে, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ | কোন কাজ শিখলে ভালো হবে

যাইহোক, যারা Fiverr, Upwork কিংবা আরো অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করবে বলে ভাবে, তারা এখনই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা সবচাইতে বেশি সেটি নিয়ে চিন্তা করছেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি

আপনার চাহিদা থাকা জব গুলো দ্বারা একজন freelancer নিজের হিসেবে নিজের জীবন কাটাতে পারেন।

আপনার নিজের ইচ্ছে স্বাধিন কাজ করা ইচ্ছে না থাকলে কাজ না করা সবকিছুই আপনার হাতে। 

তবে, এর জন্যে আপনাকে অনলাইনে থাকা কাজের মধ্যে এমন একটি কিংবা একাধিক চাহিদামূলক ফ্রিল্যান্সিং কাজ (freelancing work) জানা থাকতে হবে যার দ্বারা আপনি অনলাইন মার্কেটে থেকে কাজ সহজেই পেতে পারবেন।

বর্তমান যুগ ইন্টানেটের যুগ তাই এই যুগে নতুন কোনো স্কিল শেখা অনেক সহজ হয়ে যায়।  

তাই এইরকম কিছু জনপ্রিয় কাজের কথা আমি নিচে বলব, যেগুলো আপনি অনেক সহজেই কয়েক মাসের মধ্যে শিখতে পারবেন। এবং তা অনলাইনেই শিখতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

আপনাদেরকে সম্পূর্ন সঠিক তথ্য দেয়ার জন্য আজ আমি একটা মার্কেটপ্লেস রিসার্স করেছি। সেই মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেয়া যাক।


আজকে আমাদের রিসার্চ মার্কেটপ্লেসটিট হচ্ছে ফাইবার। আমরা সাবই জানি যে ফাইবার হচ্ছে নতুনদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস।


তাই আমরা ফাইবারে পুরো রিসার্স করে দেখবো যে কোন কাজগুলো বেশি হয় এবং কোন কাজগুলোতে বায়াররা বেশি টাকা।


সহজ কথা বেশি চাহিদার টপ লেভেলের কাজগুলো থাকবে আজকের টপিকে। প্রথমে আমি বলে নিই যে,  ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্যাটাগরি কোনগুলো।


ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন, ভিডিও এবং এনিমেশন, প্রোগ্রামিং এবং টেক।


ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে বেশি চাহিদা যেগুলো থাকে সেগুলো হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে লোগো ডিজাইন।


আবার প্রোগ্রামিং এর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপার ইত্যাদি।


আরও রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ইত্যাদি।


আমি প্রতিটা ক্যাটাগরির সবচেয়ে জনপ্রিয়গুলো বলে যাচ্ছি। আপনি প্রতিটা ক্যাটাগরিই দেখতে পারেন।


ভিডিও এবং এনিমেশনে রয়েছে ভিডিও এডিটিং, সর্ট বিজ্ঞাপন তৈরি, ভিজুয়াল ইফেক্ট এবং 3ডি এনিমেশন।


আমাদের দেশ থেকে সাধারণত এই কাজগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি দেখা যায়। তাই আমি এগুলো উল্লেখ করেছি।


সবচেয়ে ভালো হয় আপনি নিজেই মার্কেট রিসার্স করলে।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

প্রথমে বলে রাখি সর্টকাটে বা দ্রুত কোন কিছুতেই সফলতা আশা করবেন না বা পেতে চাইবেন না। আনলাইনে হাজারো কাজ রয়েছে তাতে লাভ কি? আপনাকে যে কোন ১ টি বা ২ টি বিষয়ে চরম দক্ষ হতে হবে। আপনি হতে পারেন ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভালপমেন্ট করতে পারেন, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন, ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন।

উপরে উল্লেখ করা প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে ছোট ছোট কিছু কাজ আছে যেগুলা মধ্যে যদি বলি গ্রাফিক্স ডিজাইনের যেমন রয়েছে ব্যানার ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, লোগো বানানো, এগুলো বেসিক শিখতে আপনার ৩ মাস বা কম লাগতে পারে।


আপনি এসইও শিখতে পারেন বর্তমানে প্রচুর চাহিদা। ইউটিউব ভিডিও এসইও করে মানুষ অনেক টাকা আয় করছে। আপনার যেটা করতে হবে দ্রুত কাজ শেখা এবং প্রাকটিস করা শুরু করে দিতে হবে। আপনি যে বিষয়ে সবথেকে বেশি আগ্রহী সেটা নিয়ে কাজ শুরুে করে দিন। আপনি কাজ জানলে টাকা আপনার কাছে ছুটে আসবে, টাকা আয় করার জন্য আপনাকে ছুটতে হবে না।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

ডিজিটাল মার্কেটিং করে মানুষ বর্তমানে অনেক বেশি আয় করছে, আপনার সেদিকে আগ্রহ থাকে তাহলে কাজটি শিখতে পারেন।

আমি আবারো বলছি আপনার ভালো লাগে আপনি ভালোবাসেন তেমন একটি কাজে দক্ষ হন আপনার কোন সময় লস হবে না, সেই একটি কাজ করে আপনি প্রচুর টাকা আয় করত পারবেন নিজের পরে বিশ্বাস রাখুন।

উল্লেখ্য দ্রুত বা শর্টকাটে কখনো সফলতা পাওয়া যায় না, আর সফলতা না পেলে টাকা আয় হবে কেমন করে।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ,ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ | কোন কাজ শিখলে ভালো হবে, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ | কোন কাজ শিখলে ভালো হবে


১. ট্রান্সক্রিপশন

 এই ট্রান্সক্রিপশন আবার কিছু ভয়েস ওভার এর বিপরীতও বলতে পারেন । কারণ  Recap এর ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ভিডিও বা

অডিওকে লিখিত ভাবে কনভার্ট বা শব্দে রূপান্তর করতে হয় ।  আর যা কিনা আমার মতে এটি ভয়েস ওভার এর থেকেও কিছুটা সহজ।

আর যা আপনিও অবশ্যই করতে পারবেন ।  তো এই ট্রান্সক্রিপশন ফ্রিল্যান্সিং জব এর ক্ষেত্রে আপনাকে ইন্টারভিউ, পডকাস্ট আরো

বিভিন্ন রকমের অডিওকে আনার নিজের কণ্ঠ দিয়ে রুপান্তর করতে হবে।

২.সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করা 

 সোশ্যাল মিডিয়া সাইট আমরা সবাই ব্যবহার করি ।  তো এরকম অনেক ছোট বড় কোম্পানি বা ইন্ডিভিজুয়াল এর সোশ্যাল মিডিয়া

প্রোফাইল ও পেজ থাকে আর তা অনেক সোশ্যাল প্লাটফর্মে থাকে ।  আর তাদের পক্ষে একা কখনোই সম্ভব হয়না সমস্ত কিছু হ্যান্ডেল

বা পরিচালনা করা । যেরকম অনলাইন কনটেন্ট পোস্ট বা পাবলিশ করা,  পোস্ট বা কনটেন্ট সিডিউল বা প্রি- পাবলিশ করা এবং

ফলোয়ার্সদের সাথে এনগেজিং থাকা ও তাদের কমেন্ট এর উত্তর দেওয়া ।  তাই এই সমস্ত কাজের জন্য এবং তাদের সোশ্যাল সাইটকে

এনালাইজ করে আরো উন্নত করার জন্য Social Media Manager or Handler খুঁজে থাকে ।  তো আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া

প্লাটফর্ম গুলি সম্পর্কে একটু ভাল পরিচয় ও অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনিও এই কাজ করতে পারেন । 

Read More: বেস্ট ক্যাপশন বাংলা Attitude

৩.ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ

 ফ্রিল্যান্সিং সাইটের আরো একটি ডিমান্ডেড এবং সহজ কাজ হল এই ট্রান্সলেশন বা অনুবাদকারীর জব ।  এখানে আপনাকে কোনো

একটি লিখিত উপকরণ যেরকম ওয়েবসাইট কনটেন্ট, আর্টিকেল, ডকুমেন্টস অথবা অন্য কোনো  লেখাকে, ক্লাইন্ট এর প্রয়োজন

অনুযায়ী ভাষায় লিখে রূপান্তর বা অনুবাদ করতে হবে । আপনি বাংলা সহ আরো অনেক ভাষার restatement job পেয়ে যাবেন । 

তো যাদের বাংলার সাথে সাথে আরো অন্যান্য ভাষা জানা আছে তারা এই কাজটিকে করতে পারেন ।


৪. প্রুফরিডিং

 Proofreading কথার অর্থ হল যে কোনো লিখিত উপকরণকে রিভিউ করা । যেরকম সেখানে  কোনো বানান, ব্যাকরণ ও বিরাম চিহ্নের

ত্রুটি বা ভুল আছে কিনা । আর এটি আপনি বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য করতে পারেন ।  যেমন আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট কনটেন্ট এর জন্য,

ফিল্ম বা ডকুমেন্টরী স্ক্রিপ্ট এর ক্ষেত্রে, এবং বই সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে ।  ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে বাংলা লিখিত উপকরণের জন্য অনেক

প্রুফরিডিং চাহিদা আছে আর যা দিন দিন আরো বাড়ছে ।  তার সাথে যদি আপনার আরো বেশ কিছু ভাষা সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা

থাকে তাহলে তো তা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাশ্ পয়েন্ট ।  

৫. ভয়েস ওভার

Voice over সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই । কারণ আমরা অল্প বেশি সবাই জানি যে  এখানে একটি নারেশন বা স্ক্রিপ্ট

প্রদান করা হয় যেটিকে আমাদের কণ্ঠস্বর বা কথা দিয়ে বলতে হয় । তো আপনার  যদি নিজের মাতৃ ভাষার সাথে সাথে আরো

বেশ কিছু ভাষায়ভালো ভাবে কথা বলার প্রতিভা থাকে তাহলে আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি করতে পারেন ।  তবে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার অবশ্যই

একটু ভালো করে কথা বলার প্রতিভা থাকতে হবে । আর এখন তো আমাদের  বাংলা ভাষার ভয়েস ওভার করানো জন্যও বহু দেশ ও

বিদেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানি ফ্রিল্যান্স সাইটে ডিমান্ড রয়েছে।


 ৬. ভিডিও এডিটিং

ভিডিও এডিটিং জব এখন উচ্চ ডিমান্ডেড জব ক্যাটাগরি গুলির মধ্যে একটি ।  ফ্রিল্যান্স এর পাশাপাশি ইন অফিস বা অফলাইন সমস্ত

জায়গায় এর প্রচুর চাহিদা । তো আপনার যদি অল্প কিছুও  ভিডিও এডিটিং এর অভিজ্ঞতা থেকে থাকে । তাহলেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে

পারেন । কারণ এখানে হাই ও প্রফেশনাল  লেভেল এর এডিটিং ছাড়াও একদম বেসিক এডিটিং কাজও আপনি পেয়ে যাবেন।

আর যার জন্য যথেষ্ট ভালো পারিশ্রমিক পাওয়ার সুযোগ আছে ।  এছাড়াও অনলাইন শেখার সাইট ও ইউটিউবে এরকম অনেক

টিউটোরিয়াল আছে যা দেখে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখেও নিতে পারেন । 

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

 ৭. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স

পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স এর মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই  শুধু একটিতে আপনাকে শারীরিকভাবে

অফিস এর মধ্যে থেকে সমস্ত অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ও যাবতীয় কাজ গুলি দেখাশোনা ও করতে হয় ।  সেখানেই ওপর দিকে

Virtual  backing হিসাবে আপনি সেই একই কাজ রিমোটলি অর্থাৎ আপনি নিজের বাড়ি থেকেই করতে পারেন । 

এই Virtual  backing এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের কাজ পরে যেরকম ফোন কলস, ইমেইল সামলানো ও কাস্টমারদের গাইড করা ।

  এবং বাকি সমস্ত অফিসিয়াল কাজ গুলি । এটি ছেলে ও মেয়ে উভয়েই সহজে করতে পারেন । যার জন্য স্পেশাল দক্ষতার বিশেষ প্রয়োজন নেই । 

৮. কাস্টমার সার্ভিস

ছোট থেকে বড় যেকোনো কোম্পানি বা সংস্থান এর কাস্টমার সার্ভিস একটি  অত্যাবশকীয় অংশ যেখানে কাস্টমারদের সাথে

ইন্টারেক্ট করে তাদের সমস্যার সমাধান করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং তাদের এসিস্ট দেওয়ার প্রয়োজন পরে ।  যা আপনি

নিজের বাড়ি থেকে অর্থাৎ রিমোটলি এই কাজ করতে পারেন । এবং এর জন্য বিশেষ স্কিল বা দক্ষতারও প্রয়োজন না

থাকলেও হবে ।  তবে অবশ্যই যদি আপনার কমিউনিকেশন এবং প্রব্লেম সলভিং করার দক্ষতা থাকে সেই ক্ষেত্রে তা

আপনার জন্য অতিরিক্ত সুবিধা হবে ।  মেয়ে বা মহিলাদের জন্যও এটি অবশ্যই একটি ভালো কাজ । যেহেতু অনেক ক্লাইন্ট আছে যারা মহিলা কাস্টমার সাপোর্ট খুঁজে থাকেন ।

  ৯. ব্লগ বা কনটেন্ট রাইটিং

 আমরা অনেকেই আছি যাদের লেখা লেখি করতে খুবই ভালো লাগে ।  তো সেই ক্ষেত্রে আপনি কোন ব্লগ সাইট, ওয়েবসাইট

, সোশ্যাল মিডিয়া এবং আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জন্য কনটেন্ট লেখার কাজ করতে পারেন ।  আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ,ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ | কোন কাজ শিখলে ভালো হবে, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ | কোন কাজ শিখলে ভালো হবে

বা সাবজেক্টে ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে তা নিয়েও কনটেন্ট লেখার ফ্রিল্যান্স করতে পারেন ।  ফ্রিল্যাংসিং প্লাটফর্মে নতুনদের

জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসাবে অনেক চাহিদা আছে আর আপনি বহু সাবজেক্ট এর ওপরে  অনলাইন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল

মিডিয়া কনটেন্ট, ও ব্লগ পোস্ট এর জন্য কাজ পেয়ে যাবেন । আর স্বাভাবিক ভাবেই  এই ক্ষেত্রে কমিউনিকেশন ও লেখালেখি

ছাড়া আপনার যদি সেরকম কোন দক্ষতা না থাকে তারপর ও আপনি এটি করতে পারবেন খুব সহজেই। 



নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ৫ টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কেঃ

আপওয়ার্ক (Upwork)

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে আপওয়ার্ক (Upwork). আর মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর আইডিয়া নিয়ে ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে বিশ্বে হাজির হয় ওডেক্স; যা আপওয়ার্ক এর পূর্বসূরী। অর্থাৎ ২০১৫ সালে ওডেক্স এর সাথে ইল্যান্স যুক্ত হয়ে নতুন নামে তথা আপওয়ার্ক হিসেবে বাজারে আসে।

সেবার মান উচ্চ হওয়ায় ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ারদের জন্য নির্ভরতার অন্যতম মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক। মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠানও এই সাইটটির ফ্রিল্যান্সার দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে থাকেন।

আপওয়ার্ক এ একজন ফ্রিল্যান্সার মূলত দুই ধরনের কাজ পেয়ে থাকেন। যথাঃ ঘন্টা ভিত্তিক এবং মূল্য ভিত্তিক। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো কাজ ঘন্টাভিত্তিক করেন তাহলে আপনার প্রতি ঘন্টা নির্দিষ্ট রেট অনুযায়ী কোনো একটি কাজের জন্য ঐ ক্লায়েন্ট টাকা পরিশোধ করে থাকবেন। আর আপনি যদি কোনো কাজ মূল্য ভিত্তিক করেন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোনো একটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী ক্লায়েন্ট অর্থ পরিশোধ করবেন। 


তবে এক্ষেত্রে কোনো একটি জব বিড এর জন্য আপওয়ার্ক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়ে থাকে। এছাড়াও ক্লায়েন্ট কতৃক ফ্রিল্যান্সারদের প্রদত্ত পেমেন্ট থেকে ক্ষেত্রে বিশেষ ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ নিয়ে থাকে। তবে অন্যান্য সাইটগুলোর তুলনায় তুলনামূলক বেশি অর্থ নেয় না আপওয়ার্ক। আর ক্লায়েন্ট কতৃক এই প্রাপ্ত অর্থ আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, পেওনিয়ার, ডিরেক্ট ডিপোজিট ইত্যাদির মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন।

ফাইভার (Fiverr)

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ফাইভার ছোট – বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বায়ারদের নিকট এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফ্রিল্যান্সারদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট। কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটি, ডিজাইন থেকে শুরু করে অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো প্রায় সব ক্ষেত্রই ফাইভারে রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ছোট ছোট কাজের সুবিধা রয়েছে ফাইভারে।

বিভিন্ন সেবা বেশি মূল্য থেকে একদম কম মূল্যে থাকার সুবিধার্থে বায়ারদের অন্যতম পছন্দের একটি মার্কেটপ্লেস ফাইভার। শুধু বায়ার কেন বরং নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ও কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ফাইভার অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর কারণ অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো যেকোনো কাজে বিড করার জন্য ফাইভার কে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। তাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের কাছে এটি খুবই দারুণ এবং সুবিধাজনক একটি ব্যাপার।

ফাইভ ডলারে ফ্রিল্যান্সার পাওয়া যাবে এই ধারণা থেকেই ফাইভারের উৎপত্তি হয়েছিল। এবং এখনো ফাইভারে হাজার হাজার ডলার ব্যয়ে যেমনি কোনো কাজ করাতে পারে। ঠিক তেমনি পাঁচ ডলার পরিমাণ অর্থ দিয়েও কাজ করাতে পারে। এজন্যই মাত্র পাঁচ ডলারে ফ্রিল্যান্সার পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ ক্লায়েন্টেই তুলনামূলক সস্তায় কোনো কাজ করাতে চাইলে ফাইভারকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের এখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ফাইভারে একজন ফ্রিল্যান্সার মূলত ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্ট তথা মূল্য ভিত্তিক কাজ করে থাকেন। ফাইভারে সকল কাজই এই মূল্য ভিত্তিক অর্থাৎ কোনো একটি কাজের জন্য ক্লায়েন্ট চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ একজন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে থাকেন। এখানে ঘন্টা ভিত্তিক কিংবা প্রতিযোগিতা ভিত্তিক কোনো কাজ পাওয়া যায় না। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও আপনি পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতিতে উত্তোলন করতে পারবেন।

অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মতো ফাইভারেও একজন ফ্রিল্যান্সার যে কোনো কাজের জন্য বিড করতে পারে। অতঃপর মূল্য সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় ক্লায়েন্ট কাজটি তার পছন্দসই কোনো এক ফ্রিল্যান্সার কে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বায়াররা সরাসরি ফ্রিল্যান্সার সার্চ করেও বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। সর্বোপরি বিডিং চার্জ না থাকায় একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের কাছে তুলনামূলক সুবিধাজনক একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে ফাইভার।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.Com)

সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানটি বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কাছেই বেশ গ্রহণযোগ্য এবং নির্ভরতাপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার ফিল্যান্স ডট কম এ কাজ করে থাকেন। এত বেশি সংখ্যক ফ্রিল্যান্সারের বিপরীতে জবের সংখ্যাও তুলনামূলক কম নয়।

আপনার নিজ কাজে দক্ষতা এবং একটু ধৈর্যশীল হলে এই মার্কেটপ্লেসটি থেকে পেতে পারেন অপ্রতুল কাজ। অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মতো এখানেও সফটওয়ার, মোবাইল ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন থেকে শুরু করে কপিরাইটিং সহ রয়েছে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ। আর নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ডট কম এ কাজ করা তুলনামূলক সুবিধাজনক।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম এ একজন ফ্রিল্যান্সার মূলত তিন ধরনের কাজ পেয়ে থাকেন। যথাঃ ঘন্টা ভিত্তিক, মূল্য ভিত্তিক, প্রতিযোগিতা ভিত্তিক। ঘন্টা ভিত্তিক এবং মূল্য ভিত্তিক কাজগুলো মূলত আপওয়ার্কের মতো প্রক্রিয়াতেই হয়ে থাকে।

প্রতিযোগিতা ভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে কোনো একটি প্রজেক্ট একজন ক্লায়েন্ট ঘোষণা করে থাকেন। এবং সেই প্রজেক্টের বিপরীতে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজস্বতা দিয়ে প্রজেক্ট টি সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জমা দেয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের জমাকৃত প্রজেক্টের মধ্যে থেকে ঐ ক্লায়েন্ট একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এবং বিজয়ী ফ্রিল্যান্সারকে পূর্ব নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করে থাকে।

অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো ফ্রিল্যান্সার ডট কম এও একজন ফ্রিল্যান্সার কে কোনো একটি কাজের জন্য বিডিং করতে হয়। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার সপ্তাহে সর্বোচ্চ দশটি কাজের জন্য বিড করতে পারে।

তবে যারা প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ গ্রহণ করে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো যত ইচ্ছা তত কাজের জন্য বিড করতে পারে। আর এই ফ্রিল্যান্সার ডট কম থেকে আপনার অর্জিত অর্থও আপনি পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার সিস্টেম এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)

ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ারদের চাহিদায় অন্যতম জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হলো পিপল পার হাওয়ার। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে লন্ডন – যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এই মার্কেটপ্লেসটি। প্রচলিত অন্যসব মার্কেটপ্লেসের মতো পিপল পার হাওয়ার এও ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে বিজনেস সাপোর্ট সব ধরনের কাজই পাওয়া যায়।

পিপল পার হাওয়ার মার্কেটপ্লেসে একজন ফ্রিল্যান্সার ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে নির্ধারিত মূল্যে কাজ করতে পারেন। অথবা কোনো একটি প্রজেক্টের জন্য নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়েও কাজ করতে পারেন।

তবে ঘন্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতো টাইম ট্রাকের মাধ্যমে এখানে সময় পরিমাপের প্রয়োজন নেই। এখানে আপনি আপনার নির্ধারিত কাজটি শেষ করার পর ক্লায়েন্টের নিকট আপনার কাজটি সম্পন্ন করার সময়ের পরিমাণ আপনি লিখে দিতে পারেন।

পিপল পার হাওয়ার মার্কেটপ্লেসটিতে আপনি কোনো একটি কাজ বিড করে যেমন পেতে পারেন। ঠিক তেমনি আপনি সার্ভিস সেল করেও কাজ পেতে পারেন। সার্ভিস সেল হচ্ছে আপনার দক্ষতার ক্ষেত্রটির উপর আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রকাশপূর্বক তা পোষ্ট করা।

এই পোষ্টের মধ্যে কোনো একটি কাজের জন্য আপনার কাঙ্ক্ষিত মূল্যটিও নির্ধারণ করে দিতে হবে।অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো এখান থেকে অর্জিত অর্থ ও আপনি পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় এখানে কাজের রেট অনেক বেশি। কাজের রেট অনেক বেশি হওয়ায় এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটিতে টিকে থাকতে হলে আপনার দক্ষতার ও বেশি প্রয়োজন। তাই আপনার যদি পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকে তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এই মার্কেটপ্লেসটিতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

 আরো পড়ুন:

►► শুভ জন্মদিন মেসেজ

►► শুভ বিবাহ শুভেচ্ছা মেসেজ

►► বেস্ট ক্যাপশন বাংলা Attitude

শুভ জন্মদিন ছোট ভাই স্ট্যাটাস


Next Post Previous Post
No Comment